সোমবার, মঙ্গলবার প্রবল তুষারপাত প্রত্যক্ষ করলেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। নতুন করে তুষারপাতের জেরে চারধার সাদা হয়ে গেছে। রাস্তা বরফের চাদরের তলায় চাপা পড়েছে। গাছের পাতা দেখা যাচ্ছেনা। বাড়ির ছাদ হারিয়ে গেছে। পুরু তুষারের চাদরের ওপর আরও তুষারপাত হচ্ছে। ফলে চাদর আরও পুরু হচ্ছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত এই প্রবল তুষারপাত জারি থাকবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আর এই তুষারপাতের জেরেই অবশেষে কিছুটা স্বস্তি পেলেন উপত্যকার মানুষজন।
প্রবল তুষারপাত দেখতে সুন্দর হতে পারে। কিন্তু যাঁরা সেখানে দিনের পর দিন থাকেন, তাঁদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে কিনা তুষারপাতের জেরে স্বস্তি! খটকা লাগতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল শৈত্যপ্রবাহ চলছিল কাশ্মীর জুড়ে। যা তুষারপাতের চেয়েও ভয়ানক। তুষারপাত হওয়ায় সেই প্রবল শৈত্যপ্রবাহে ছেদ পড়েছে। তাই কিছুটা হলেও তুষারপাত স্বস্তি এনেছে সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, প্রবল তুষারপাতের পর বুধবার সন্ধের পর থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হবে কাশ্মীরে। শুকনো অবস্থা বাড়বে। ফলে বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। এই পারদ উত্থান ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ পর্যন্ত বজায় থাকবে। আর তার জেরেই কাশ্মীর জুড়ে আবহাওয়া সুন্দর হবে। মানুষ আরও বেশি স্বস্তি পাবেন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আরও সচল হবে। এখনও গুলমার্গে মাইনাস ৮ ডিগ্রি, পহেলগামে মাইনাস ৩ ডিগ্রি, শ্রীনগরে ০.৬ ডিগ্রিতে ঘুরছে পারদ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা