ভারতের উত্তরভাগে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। কারণও পরিস্কার। ওদিকেই রয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। কিন্তু শীত যেখানে যত বেশিই পড়ুক না কেন মানুষের মনে কনকনে ঠান্ডা, সাদা বরফের চাদরে ঢাকা স্বর্গ মানেই কাশ্মীর। কাশ্মীরে ভারতের সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায়। কাশ্মীরের ঠান্ডাকে তাই স্থানীয়রা ৩ ভাগে ভাগ করেছেন। প্রতিবছর এর অনুপাত একই থাকে। এমনকি দিনক্ষণও।
কাশ্মীরে ঠান্ডা ৩ ভাগে বিভক্ত। চিল্লাই কলন, চিল্লাই খুর্দ এবং চিল্লাই বাচ্চে। এরমধ্যে ৪০ দিন হল সবচেয়ে ভয়ংকর ঠান্ডার দিন। এই ৪০ দিনের শুরু হয় ২১ ডিসেম্বর। আর শেষ হয় ৩১ জানুয়ারি। এই ৪০ দিনের কড়া ঠান্ডার দিনগুলোকে বলা হয় চিল্লাই কলন। যা আগামী শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি শেষ হতে চলেছে। এবার এই ৪০ দিনে প্রবল থেকে অতি প্রবল ঠান্ডা পেয়েছে কাশ্মীর। তুষারপাত, বৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ মিলিয়ে কাশ্মীরের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে ছিল এই কটা দিন।
শুক্রবার থেকে খাতায় কলমে শুরু হবে চিল্লাই খুর্দ। ২০ দিনের সময়কাল। ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ঠান্ডা চলবে। চিল্লাই খুর্দ মানে হল প্রবল ঠান্ডার চেয়ে কিছুটা কম ঠান্ডা। এই সময়ে ক্রমশ আবহাওয়ার উন্নতি হতে থাকে। পারদ চড়তে থাকে। বরফ গলে যায়। ঝলমলে আকাশে আবহাওয়া ক্রমশ মনোরম হতে শুরু করে। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু করেন।
চিল্লাই খুর্দ শেষ হওয়ার পর থাকে শেষ অংশের ঠান্ডা। ১০ দিনের সময়কাল এই ঠান্ডার। যা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলে ২ মার্চ পর্যন্ত। নাম চিল্লাই বাচ্চে। বাচ্চে শব্দটা থেকেই অনুমেয় যে অল্প ঠান্ডার দিন এগুলো। এটা কার্যত কাশ্মীর থেকে শীত বিদায়ের আগে অল্প ঠান্ডার পরশ রেখে দেয়। কাশ্মীরে এভাবেই শেষ হয় ২ মাসের শীতকাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা