গত মঙ্গলবারের ঘটনা। ২৩ বছরের তরুণ এক যুবক লুকিয়ে হাজির হন তাঁর প্রেমিকার বাড়িতে। প্রেমিকা আবার পরস্ত্রী। ৩০ বছরের ওই যুবতীর স্বামী সৌদি আরবে কর্মরত। লুকিয়ে সেদিন বাড়িতে প্রবেশ করতে প্রেমিকার কাছে পৌঁছতে পারলেও তাঁদের ২ জনকে দেখে ফেলেন ওই গৃহবধূর শ্বশুর। তিনি দ্রুত বাড়ির অন্যদের খবর দেন। সকলে মিলে ওই তরুণ ও গৃহবধূকে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে ২টি ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে ফেলেন। তারপর তাঁদের ২ জনকে শাস্তি দিতে তাঁদের নাক কেটে নেন। রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন দুজন। এরপর তাঁদের ওই অবস্থায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনাটি ঘটেছে অযোধ্যার কান্দ পিপরা গ্রামে। ওই তরুণের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল গৃহবধূর। দুজনের লুকিয়ে প্রেম চলছিল চুটিয়ে। ওইদিন যে তাঁরা ধরা পড়ে যাবেন তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি। পুলিশ জানাচ্ছে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ২ জনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তদন্তে নেমে ওই গৃহবধূর শ্বশুর ও তাঁর বাড়ির কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে তারা। এদিকে আরও বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে গ্রামে। ওই গৃহবধূ ও তরুণ ২ জনে ভিন্ন জাতের হওয়ায় গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। ফলে গ্রামে বড় সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর কাণ্ড না ঘটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা