সকালে মোটরবাইক নিয়ে বার হন তিনি। মোটরবাইকে ছিল তাঁর ছেলে। এটাই হয়ে থাকে। তিনি ছেলেকে মোটরবাইকে স্কুলে ছেড়ে চলে যান আদালতে। রোজকার রীতি মেনে তিনি বাড়ি থেকে বার হন। ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দেন। তারপর আদালতে হাজির হন। কারও সন্দেহ হওয়ার কোনও অবকাশই ছিলনা। বৃহস্পতিবার এভাবেই আদালত চত্বরে পৌঁছে সেখানে নির্মীয়মাণ একটি বহুতলের সিঁড়ি দিয়ে উঠে যান পেশায় আইনজীবী প্রশান্ত কুমার সিং।
সিঁড়ি বেয়ে ৯ তলায় উঠে যান তিনি। হয়তো এতটাই উঁচুতে উঠতে চাইছিলেন যে সেখান থেকে লাফ দিলে চরম পরিণতি নিশ্চিত হয়। ৯ তলায় ওঠার পর সেখানে চটি ছাড়েন প্রশান্ত কুমার সিং। নির্মীয়মাণ বাড়ি হওয়ায় সেখানে তখন কেউ ছিলেননা। চটি ছেড়ে তারপর পরনের জ্যাকেটটিও পাশে খুলে রাখেন। তারপর লাফ দেন ৯ তলা থেকে। আছাড় খেয়ে পড়েন মেঝেতে।
সেখানে তখন এক সাফাইকর্মী কাজ করছিলেন। তিনি এভাবে ওই আইনজীবীকে আছড়ে পড়তে দেখে দ্রুত সকলকে ডাক দেন। ছুটে আসেন সকলে। দ্রুত রক্তাক্ত প্রশান্ত কুমার সিংকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বারাণসীর জেলা আদালতে। সেখানেই প্র্যাকটিস করতেন প্রশান্ত। তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা