স্বামী ও ননদ রাতে ঘুমিয়েছিলেন। ওই গৃহবধূও ঘুমিয়েই ছিল। কিন্তু গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে পড়ে সে। চারিদিক তখন নিস্তব্ধ। কনকনে ঠান্ডায় ঘুমের দেশে সকলে। সেই সময় বিছানা ছেড়ে উঠে স্বামী ও ননদকে ঘরের ভিতরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয় ডলি দেবী নামে ওই গৃহবধূ। তারপর পা টিপে টিপে হাজির হয় শ্বশুরের ঘরে।
শ্বশুর তখন ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। শ্বশুর বছর ৬০-এর গণেশ রাণার কাছে পৌঁছয় ওই গৃহবধূ। তারপর ঘুমের মধ্যেই তাকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে গণেশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় ৩২ বছরের ডলি দেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কেন শ্বশুরের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটাল ওই গৃহবধূ? এটা এখন বড় প্রশ্ন। গণেশ রাণার ছেলে অমরের সঙ্গে ডলি দেবীর বিয়ে হয় ৮ বছর আগে। তাদের ২টি সন্তানও রয়েছে। কেন সে এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে ডলি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সেইসঙ্গে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা