যে গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর বড় হওয়া। সেই গ্রাম তাঁকে উপহার দিয়েছে। উপহার দিয়েছে একটা তকমা। ডাইনির তকমা। তাঁকে দেখলেই শুরু হয় গঞ্জনা। খারাপ কথার বর্ষণ হতে থাকে তাঁকে ঘিরে। এমন অবজ্ঞা, অত্যাচার আর কত সহ্য করা যায়! তাই তিনি নিজের গ্রামে টিকতে পারেননা। গঞ্জাম জেলায় তাঁর গ্রাম ছেড়ে তিনি অনেক সময় অন্যত্র থাকেন। থাকেন কাদাপাড়া গ্রামে। কী তাঁর দোষ? শরীরে জন্মগত অতিরিক্ত আঙুল? সে কী তিনি সাধ করে নিয়ে জন্মেছেন? তাঁর গ্রামের মানুষ ওসবে কান দিতে রাজি নন। তাঁদের কাছে ওই মহিলা এক ডাইনি। তবে গ্রাম যাই ভাবুক, তিনি এখন বিশ্ব রেকর্ডের খাতায় নাম তোলার অপেক্ষায়।
পড়ুন : ৩০ হাজার বার্গার খেয়ে গিনেস বুকে নাম উঠল বৃদ্ধের
ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় জন্ম নেওয়ার পর ৬৫টি বসন্ত পার করেছেন তিনি। জীবনের সবটাই স্বাভাবিক। শুধু তাঁর ২ হাত মিলিয়ে আঙুলের সংখ্যা ১২ আর তাঁর ২ পা মিলিয়ে আঙুলের সংখ্যা ১৯। এখানেই তিনি সকলের থেকে একটু আলাদা। তাঁর শরীর জুড়ে রয়েছে ৩১টি আঙুল। আগে এই রেকর্ড ছিল গুজরাটের দেবেন্দ্র সুতারের। তাঁর দেহে ছিল ২৮টি আঙুল। হাতে ১৪টি ও পায়ে ১৪টি। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন ওড়িশার এই বৃদ্ধা।
পড়ুন : টমেটো সস খেয়ে নাম উঠল গিনেস বুকে
সোশ্যাল মিডিয়াই জানিয়েছে ওই মহিলা নজরে আসার পর গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম উঠতে চলেছে তাঁর। গড়ছেন সর্বাধিক আঙুলের বিশ্ব রেকর্ড। সেই নাম ওঠা এখন সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি তাঁকে আঙুলের সংখ্যার জন্য গঞ্জনার শিকার হওয়া নিয়ে কড়া প্রতিবাদে মুখর নেটিজেনরা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, শরীরে অতিরিক্ত আঙুল নিয়ে জন্মগ্রহণ খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। এজন্য ওই মহিলাকে খারাপ কথা বলার কোনও জায়গা নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা