খোদ পুলিশ স্টেশনেই ভূতের ভয়। আপাতত পুলিশ স্টেশনের সব পুলিশকর্মী অন্য কাজ ফেলে ভূতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। কেউ একা ডিউটি করতে চাইছেন না। ভূত তাড়াতে একসঙ্গে হনুমান চালিশাও পাঠ করছেন। কিন্তু ভূতের ভয় পিছু ছাড়ছে না। আবার কখন দেখা দেয় ভূত! সেই আতঙ্কেই ঠকঠক করে কাঁপছেন তাঁরা। এমনকি ভূত তাড়াতে পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই হনুমানজি-র একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন পুলিশকর্মীরা।
সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু পুলিশের থার্ড ডিগ্রি সহ্য করতে না পেরে পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই নিজেকে শেষ করে দেয় এক যুবক। তারপর তার দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ স্টেশন নির্বিঘ্নেই চলছিল। কদিন আগে রাতে কর্মরত এক পুলিশকর্মী ওই যুবককে দেখতে পান বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই যুবকের ভূত এসে নাকি হাজির হয় পুলিশ স্টেশনে। এরপর একাধিক পুলিশকর্মী জানান তাঁরা ওই যুবকের ভূতকে পুলিশ স্টেশনে ঘুরতে দেখেছেন। আর তাতেই গোটা পুলিশ স্টেশন জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠ জেলার টিপি নগর পুলিশ স্টেশনে আপাতত সব কাজ লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে। পুলিশকর্মীরা এখন ভূতের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজতে ব্যস্ত। পুলিশ স্টেশনে চলছে হনুমান চালিশা পাঠ, বসতে চলেছে হনুমানজির মূর্তি। সেইসঙ্গে ভূত তাড়াতে হোমযজ্ঞও করা হয়েছে। তার পরেও ভূতের ভয় এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে ওই পুলিশ স্টেশনের পুলিশকর্মীদের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা