National

ইন্দিরা গান্ধী তাঁর মেয়ে হয়ে জন্মেছেন, ছেলের বিয়ের কার্ডে দাবি বাবার

আজব এক বিয়ের কার্ড। আর তা নিয়েই হৈচৈ। যাঁরা নিমন্ত্রিত তাঁরা হৈচৈ করছেন। সাধারণ মানুষ হৈচৈ করছেন। নেটিজেনরা হৈচৈ করছেন। এমন বিয়ের কার্ড এর আগে কেউ কখনও দেখেনি। যেখানে ছেলের বিয়েতে বাবা তাঁর নিজের জীবনের নানা কথা, নিজের কিছু বিশ্বাস, রাষ্ট্রনায়কদের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি সবই তুলে ধরেছেন। সেইসঙ্গে সকলকে অবাক করে ছেলের বাবা এও দাবি করেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর মেয়ে হয়ে ফিরে ফের দেহ ধারণ করেছেন।

বিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি। ছেলের বিয়েতে নিমন্ত্রণের জন্য ৬০০ কার্ড ছেপেছেন বাবা। পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক হরিপ্রসাদ শর্মা ছেলের বিয়ের কার্ডের বয়ান তৈরি করেছেন নিজের হাতে। সেখানে তিনি শুরুই করেছেন তিনি ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়ে কত ভোট পেয়েছিলেন সেই সংখ্যা দিয়ে। ২ হাজার ৭০৩টি ভোট পান তিনি সেই নির্বাচনে। রায়বরেলি থেকে সেবার ইন্দিরা গান্ধী কিন্তু পরাজিত হয়েছিলেন।


পড়ুন : এবার বিয়ের কার্ডেও জায়গা পেল সিএএ, এনআরসি

২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেটও ছিলেন। তারও উল্লেখ রয়েছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ভোটে যে জিতবেন তা তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ভবিষ্যতবাণী মিলে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লেখেন, অমিত শাহও আলাদা করে ২০১৪ নির্বাচন জয়ের জন্য চিঠি লেখেন। সেসব চিঠিও দিয়েছেন হরিপ্রসাদ শর্মা। এমনকি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও ভোটে জয়ের কথা আগে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই ভবিষ্যতবাণী মিলে যাওয়ায় ওবামাও তাঁকে ধন্যবাদ জানান। তারও উল্লেখ রয়েছে ছেলের বিয়ের কার্ডে।


এখানেই শেষ নয়, সবচেয়ে বড় চমক বোধহয় তখনও অপেক্ষা করছিল। ছেলের বিয়ের কার্ডে হরিপ্রসাদ দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে যমুনা হয়ে পুনর্জন্ম নিয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী। সেই মেয়ে তাঁর ভাইয়ের বিয়েতে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। হরিপ্রসাদ এখনও পর্যন্ত ৬০০ সাধারণ কার্ড ছেপেছেন। তাতেই এই লেখা রয়েছে। এখনও নাকি ভিআইপি-দের জন্য ২৫টি কার্ড তাঁর ছাপা বাকি। সকলেই মুখিয়ে আছেন সেই কার্ডে তিনি আর কি কি দেন! আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা হরিপ্রসাদ শর্মার ছেলে বিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button