National

তরুণী অধ্যাপিকার লড়াই শেষ, যুবকের হায়দরাবাদের মত পরিণতি চাইছেন মানুষ

১৬৮ ঘণ্টার লড়াই থামল। এই পুরো সময়টা যমে মানুষে টানাটানি চলেছে। অমানুষিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন ২৪ বছরের তরুণী অধ্যাপিকা। পোড়ার অসহ্য যন্ত্রণা তাঁকে ক্রমশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাঁর মাথা, মুখ, শ্বাসনালী, হৃদযন্ত্র সব পুড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থাতেও জীবনের সঙ্গে লড়ছিলেন তিনি। সেই লড়াই সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ থেমে যায়। চিকিৎসকেরা জানান মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর সঙ্গে যা ঘটেছিল তারপর থকেই বহু মানুষ পথে নেমে অভিযুক্তের হায়দরাবাদের মত শাস্তি চাইছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই তরুণী মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার একটি কলেজের পার্ট টাইম লেকচারার। কলেজেই আসছিলেন তিনি। বাস থেকে সবে তখন কলেজের সামনে নেমেছেন। ঠিক তখনই বাইকে করে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় এক যুবক। ওই যুবক তাঁর চেনা। তাঁরই গ্রামের ছেলে। ওই তরুণীকে বেশ কয়েকবার প্রেম নিবেদন করেও সাড়া না পেয়ে এক হতাশ প্রেমিকে পরিণত হওয়া ওই যুবক তরুণী বাস থেকে নামতেই তাঁর গায়ে পেট্রোল ছড়িয়ে দেয়। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। রাস্তার ওপরই জ্বলতে থাকেন তরুণী। এর মধ্যে বাইক নিয়ে পালায় ওই যুবক।


পড়ুন : ৪ বন্ধুকে বিশ্বাস করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর দুঃস্বপ্নের পরিণতি

তরুণীর দেহের সিংহভাগ পুড়ে যায়। বিশেষত শরীরের উর্ধ্বাংশ। তারপর থেকেই হাসপাতালে ছিলেন তিনি। এদিকে প্রকাশ্য রাস্তায় সকলের সামনে এমন ঘটনা ঘটার পর মহারাষ্ট্র জুড়ে মোমবাতি মিছিল, বিক্ষোভ, পথ অবরোধ সবই শুরু হয়। অনেকে দাবি করছিলেন ওই যুবককে হায়দরাবাদের মত শাস্তি দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে দুষ্কর্মের পর তাঁকে শেষ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পালাতে চেষ্টার অভিযোগে খতম করে পুলিশ। সেই ঘটনা ওই যুবকের সঙ্গেও করতে হবে বলে দাবি ওঠে। এদিকে এই ঘটনায় খোদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে চেয়েছেন ওই যুবকের যেন দ্রুত ও কঠোর শাস্তি হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button