দিল্লিতে এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ফিরছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সরকার। বিজেপিকে কার্যত উড়িয়ে দিল আপ। ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসেরও। ঝাড়খণ্ডের পর ফের বড় ধাক্কা খেল গেরুয়া শিবির। লোকসভায় যে দিল্লিতে বিজেপি দুরন্ত ফল করেছিল, ৭টির মধ্যে ৭টি আসনই জিতে নিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি বিধানসভা ভোটে কার্যত উড়ে গেল আপ-এর সামনে। কংগ্রেসের হালও যা ছিল সেখানেই রয়ে গেল। ২ অঙ্কে আসন সংখ্যা নিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তো দুরস্ত, আদৌ কংগ্রেস কী পুরো গণনার পর খাতাটুকু খুলতে পারবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন সকলের কাছে। অন্যদিকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর অনেকের মনে হচ্ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লিবাসী আর নিতে পারছেন না। তা বিধানসভা ভোটে বেমালুম উল্টে গেল।
দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০টি। আপ গতবার অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৬৭টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। মাত্র ৩টি ছিল বিজেপির দখলে। কংগ্রেস সেবারও শূন্য ছিল। এবারও তাদের ঝুলি শূন্যই হয়তো রাখলেন দিল্লিবাসী। গণনা অবশ্য শেষ হয়নি দুপুরেও। কিন্তু ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ৩৬। তার চেয়ে অনেক বেশি আসনে ভালভাবে এগিয়ে আপ। যদিও গতবারের চেয়ে তাদের আসন সংখ্যা কমতে চলেছে। অন্যদিকে বিজেপির দিক থেকে এই ভরাডুবির মাঝেও একটাই ভাল খবর যে তারা ২০১৫-র চেয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে চলেছে।
নির্বাচনের ছবি পরিস্কার হওয়ার পর বিজেপি শিবিরে যেমন হোলির আগে গেরুয়া আবিরে দিল্লি মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। সেখানে বেলা বাড়লে হতাশার ছবি স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। সেখানে আপ শিবিরে বেলা যত গড়িয়েছে আনন্দের পারদ ততই চড়েছে। রাস্তায় নাচ, গান, হৈচৈ, মিষ্টি বিতরণ, আলিঙ্গন সবই চলেছে চুটিয়ে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা