হাতে একটা পেট্রোলের বোতল। তাতে ভর্তি পেট্রোল। তিনি বারবার হুমকি দিচ্ছেন সেটা গায়ে ঢেলে নিজেকে শেষ করবেন। নাও করতে পারেন। তবে শর্ত রয়েছে। তাঁকে যে আধিকারিকরা সাসপেন্ড করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে তখনই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাঁর আরও দাবি, তাঁকে অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাই এই সাসপেনসনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। পুলিশ ও মিডিয়াকে তাঁর থেকে দূরে থাকতে বলেন ওই চিকিৎসক। চিকিৎসকের এই কাণ্ডে হাসপাতালে রোগী পরিষেবা লাটে ওঠে।
তেলেঙ্গানায় করোনা ভাইরাসে ২ জন আক্রান্ত। এমন একটি ভুয়ো খবর বসন্ত নামে ওই চিকিৎসক ছড়িয়েছেন। এই অভিযোগে তাঁকে ২ দিন আগেই সাসপেন্ড করে হায়দরাবাদের সরকারি গান্ধী হাসপাতাল। ২ দিন চুপ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে পেট্রোলের বোতল হাতে হাজির হন বসন্ত। পুলিশ তাঁকে বারবার অনুরোধ করতে থাকে তিনি যেন কোনও চরম পদক্ষেপ না করেন। কিন্তু বসন্ত নাছোড় অবস্থান নেন। এরমধ্যেই অবশ্য পুলিশ ফাঁক বুঝে একসময় তাঁর হাত থেকে পেট্রোলের বোতলটি কেড়ে নিতে সক্ষম হয়। তারপরই পুলিশকর্মীরা দ্রুত তাঁর গা থেকে জামাটি খুলে নেন।
চিকিৎসক বসন্তের কাণ্ডে তখন হাসপাতাল জুড়ে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। তাঁকে ঘিরে জমে যায় বিশাল ভিড়। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা পর্যন্ত ভিড় জমান। রোগী পরিষেবা লাটে ওঠে। হাসপাতাল জুড়ে প্রচুর পুলিশ ও মিডিয়ার ভিড় জমে যায়। পরে অবশ্য বসন্ত নামে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। অবস্থা শান্ত হয়। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা