National

বলে কয়ে হত্যা, ঘটনার পর ঘুম ভাঙল পুলিশের

৫ দিন সময় দিয়েছিল সে। বলেছিল তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা না তুললে পরিবারের একজনকে হত্যা করবে। এমন হুমকি পাওয়ার পর পুলিশকে জানিয়েছিল পরিবার। কিন্তু তারপরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি কিন্তু যে হুমকি দিয়েছিল তা কার্যকরীও করে। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে ধর্ষণের শিকার তরুণীর পিতাকে। এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পুলিশ প্রশাসন অবশ্য একটু নড়েচড়ে বসেছে। ২ পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে তারা।

গত বছরের অগাস্ট মাসে আচমন উপাধ্যায় নামে অভিযুক্তের হাতে ধর্ষণের শিকার হয় এক তরুণী। পরে পুলিশে এই ঘটনার অভিযোগও দায়ের হয়। কিন্তু তারপর থেকে আচমনকে গ্রেফতার করে উঠতে পারেনি পুলিশ। আদালত আচমনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু তাকে গ্রেফতার করতে অসমর্থ হয় পুলিশ। এদিকে সে কিন্তু এ মাসের শুরুতে নির্যাতিতার বাড়িতে হাজির হয়। শাসিয়ে আসে ৫ দিনের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করলে বাড়ির ১ জনকে হত্যা করবে।


নির্যাতিতার পরিবার পুলিশে সেকথা জানায়। পরে ওই তরুণীর বাবা যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তখন তাঁকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সামনে থেকে গুলি করে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানার ২ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের তিলক নগরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button