বাড়ির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তথাকথিত নিচু জাতের ছেলের। তাই এই প্রেম পরিণতি নিয়ে চরম আপত্তি ছিল পরিবারের। কিন্তু মেয়েও তাঁর ভালবাসাকে ছাড়তে রাজি নন। যখন তিনি দেখেন যে পরিবার কখনই তাঁর বিয়ে মেনে নেবে না, তখন প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। পালিয়েও যান। পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁর মনের মানুষকে। সে খবর এসে পৌঁছয় তাঁর পরিবারের কাছে। এরপরই লজ্জায় এক চরম পদক্ষেপ নেন তরুণীর বাবা, মা ও ভাই। সেই শুনে আবার নব দম্পতিও চরম পদক্ষেপের চেষ্টা করলেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। প্রাণালি ওয়ারগন্তিবর নামে পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ওই ২৪ বছরের তরুণী বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। তাঁরা ওবিসি তালিকায় পড়েন। আর তাঁর ভালবাসার পাত্র এসসি তালিকাভুক্ত। তাই প্রাণালির পরিবারের বিয়েতে আপত্তি, তা নিয়ে বাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি সবই হয়ে গেছে। বাড়ি কিছুতেই মানবে না বুঝে প্রাণালি বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা হাজির হন মহারাষ্ট্রের মারকান্দা গ্রামে। যেখানে তাঁর প্রেমিকের বাড়ি। তাঁর বাড়িতে সমস্যা না থাকায় সেখানে রাতটা কাটিয়ে স্থানীয় একটি শিব মন্দিরে ২ জনে গত রবিবার বিয়ে করেন।
তাঁদের বিয়ের খবর পৌঁছয় ওয়ারগন্তিবর পরিবারে। খবর কনে যাওয়ার পর থেকেই খাওয়া বন্ধ করে দেয় পরিবার। গত সোমবার বাবা, মা ও ভাই বেরিয়ে পড়েন বাড়ি ছেড়ে। তারপর ১ কিলোমিটার দূরে একটি কুয়োর সামনে হাজির হয়ে বাড়ির ভাড়াটেকে ফোন করেন। জানান তাঁরা মেয়ের পালিয়ে বিয়ের লজ্জায় নিজেদের শেষ করে দিচ্ছেন। তারপরই ফোন কেটে ফোন বন্ধ করে দেন। পুলিশ ৩ জনের দেহ ওই কুয়ো থেকে উদ্ধার করে।
বাবা, মা ও ভাইয়ের এই চরম পদক্ষেপের কথা পৌঁছয় মেয়ে প্রণালির শ্বশুরবাড়িতে। একথা শোনার পর নবদম্পতি বিষ খান। তারপর কাছের পোহার নদীতে গিয়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে নিজেরা আত্মহননের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে হাজির হয়। প্রায় শেষ মুহুর্তে তাঁদের জল থেকে তুলে নেয় পুলিশ। পাঠানো হয় হাসপাতালে। আপাতত ২ জনের অবস্থা স্থিতিশীল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা