স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা অনেক ক্ষেত্রে সামনে আসে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে শাশুড়ি, শ্যালক ও শালাজকেও হত্যার ঘটনা বড় একটা নজর কাড়েনা। তাও আবার জামাই যদি এই হত্যালীলা চালাতে হাতে স্বয়ংক্রিয় একে-৪৭ তুলে নেয়। এমনই ঘটনা কিন্তু ঘটল। শ্যালকের ছোট্ট মেয়েও পিসেমশাইয়ের ছোঁড়া গুলিতে জখম হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে পেশায় পুলিশকর্মী জামাই।
পুলিশ জানাচ্ছে, একটা জমিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। পুলিশ কনস্টেবল কুলবিন্দর সিং-এর সঙ্গে এই অশান্তি চলছিল তার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে। গত শনিবার কুলবিন্দর স্ত্রী রাজিন্দর কউরকে সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়ি হাজির হয়। সেখানে রাতে প্রচুর মদ্যপান করে। সেই অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলতে থাকে ওই জমিকে কেন্দ্র করে। ঝগড়ার মাঝেই রাগে উন্মত্ত হয়ে কুলবিন্দর নিজের একে-৪৭ রাইফেল থেকে গুলিবর্ষণ করে।
গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালক ও শালাজের দেহ। শ্যালকের ১০ বছরের মেয়েও গুলিতে আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্ত্রী, শাশুড়ি ও শালাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শ্যালকের চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, টিয়ার গ্যাস বিভাগে কাজ করত কুলবিন্দর। তার নামেই একে-৪৭ রাইফেলটি ইস্যু করা হয়েছিল। কর্মস্থলের সেই রাইফেল দিয়েই সে পারিবারিক ঝগড়ায় শেষ করে দিল ৪টি প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা