হোটেলের ঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানে ২ পুলিশকর্মী তাঁকে যৌনকর্মী বলে তকমা সেঁটে দেন। তারপর হোটেলের ঘরেই তাঁকে মারধর করে। পরে তাঁকে সেখানেই ধর্ষণ করে। তারপর তারা তাঁকে হোটেল থেকে একটি অটো ধরে বাড়ি চলে যেতে বলে। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন ২০ বছরের ওই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা পেশায় শ্রমিক। তিনি বাড়িতেই একটি কোচিং ক্লাস চালান।
তরুণী জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার। পরে তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারকে সব খুলে বলেন। পরিবারের তরফে এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে। রেলস্টেশনের ধারে যে হোটেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ওই তরুণী দাবি করেছেন, সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার কাজ চলছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান জোর করে নয় ওই তরুণী সদিচ্ছাতেই ওই হোটেলের ঘরে যান। যদিও তাঁর সঙ্গে এমন কাণ্ড হয়ে থাকলে যারা এর জন্য দায়ী তাদের রেহাই দেওয়া হবে না।
তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, হোটেলের ঘর থেকে অভিযুক্ত ২ পুলিশকর্মী। সবই তিনি চিনিয়ে দিতে পারবেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ি এই গোরক্ষপুরেই। বিরোধীরা এই ঘটনাকে সামনে রেখে জোড়াল আক্রমণ হেনেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ওপর। সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গোরক্ষপুরের জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিরোধীরা একটি অবস্থান আন্দোলনও করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা