অভয়ারণ্যের গহন জঙ্গলে নিশ্চিন্ত বসবাস পশুপাখিদের। বিশেষ করে তাদের, যাদের সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে সেই অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে। বাঘ, সিংহ, গণ্ডার সহ নানা পশুর নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গলকে জাতীয় উদ্যান বানিয়েছে সরকার। জাতীয় উদ্যানের দেখভালও করা হয় যত্নের সঙ্গে। বন দফতরের কর্মীরা সারাক্ষণ জঙ্গলের দিকে নজর রাখেন। এই নজরদারি চালাতে তাঁরা জঙ্গলে ঘোরেন। তেমনই ঘুরতে ঘুরতে ঝাড়খণ্ডের বেতলা জাতীয় উদ্যানে মিলল একটি বাঘিনীর দেহ।
জঙ্গল থেকে রবিবার এই দেহ উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। ১৪ বছর বয়সী এই বাঘিনীর কিভাবে মৃত্যু হল তা এখনও পরিস্কার নয়। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ মালভূমি এলাকায় এই বেতলা অভয়ারণ্যে বহু পশুপাখির বাস। সেখানে এমন ঘটনায় কিন্তু চিন্তিত বনকর্মীরা। এই ঘটনার পরই অভয়ারণ্যে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
পর্যটকদের ঘোরা বন্ধ রেখে বনকর্মীরা বাঘিনীর মৃত্যুর কারণ খুঁজে দেখছেন। উত্তরপ্রদেশেও কদিন আগেই পরপর লেপার্ডের মৃত্যুর খবর মিলছিল। এদিকে বনকর্মীরা এখন বাঘিনীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত না হলেও তাঁদের ধারণা বাঘটির সঙ্গে সম্ভবত কোনও মোষের মারামারি হয়েছে। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। বাঘিনীর গায়ে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তা দেখেই এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই আসল কারণ নিশ্চিত হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা