গ্রামে ভাণ্ডারা হচ্ছে। সহজ বাংলায় দরিদ্রনারায়ণ সেবা। সেখানে গ্রামের সকলেই আমন্ত্রিত। তাই সেখানে খেতে হাজির হন উপেন্দ্র রাম নামে ৩০ বছরের এক যুবক। দলিত যুবক উপেন্দ্র একটি কয়লার দোকানে কাজ করেন। দোকানের কাজ সেরে সোজা হাজির হন ভাণ্ডারায়। উপেন্দ্র যখন সেখানে পৌঁছন তখন তাঁর হাতে কয়লা ঘাঁটার কালো ছোপ লেগে আছে। সেই হাতেই তিনি খাবারে হাত দিয়ে দেন।
হাত না ধুয়েই খাবারে হাত দেওয়ায় যে যুবকরা ভাণ্ডারায় পরিবেশনের দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা প্রতিবাদ করেন। এই নিয়ে উপেন্দ্র ও ৪ যুবকের মধ্যে প্রবল বচসা শুরু হয়। যা ক্রমশ উত্তপ্ত হতে হতে এক সময় হাতাহাতিতে পৌঁছয়। ওই ৪ যুবক উপেন্দ্রকে ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দেন। তারপর এক যুবক হাতে ত্রিশূল তুলে নিয়ে উপেন্দ্রর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
ত্রিশূল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ত্রিশূল গেঁথেও দেয় উপেন্দ্রর শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় উপেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার দোকাতি গ্রামে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখনও তাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা