মঙ্গলবার সকাল। অন্যদিন যেমন নিজের অফিসে আসেন তেমনই বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। সাড়ে ৯টা নাগাদ অফিসেও হাজির হন। একটি কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের ১৫ তলায় তাঁর অফিস। পেশায় হিরে ব্যবসায়ী তাঁর মহলে যথেষ্ট সুপরিচিত মানুষ। এন.কুমার এন্ড কোম্পানি-র ২ জন পার্টনার রয়েছেন। তারই একজন ছিলেন ধীরেন চন্দ্রকান্ত শাহ। ৬১ বছরের ওই ব্যক্তি এদিন অফিসে সাড়ে ৯টায় ঢোকার পর একটু বারান্দায় পায়চারি করতে বার হন। তারপরই বারান্দা থেকে লাফ দেন নিচে।
১৫ তলা থেকে লাফ দেওয়ার পর আর তাঁর বাঁচার কোনও সম্ভাবনা কার্যত ছিলনা। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। কেন এমন চরম পদক্ষেপ করলেন তিনি? পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তির চেম্বার থেকে একটি ছোট্ট নোট উদ্ধার করে। তাতে লেখা ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই মৃত্যুর জন্য কেবলমাত্র তিনি নিজে দায়ী।
ওই হিরে ব্যবসায়ীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ মুম্বইয়ের অপেরা হাউসের প্রসাদ চেম্বার বিল্ডিংয়ে। এখানই অফিস ছিল ধীরেন শাহের। তাঁর স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছেন। ছেলে আমেরিকায় থাকেন। মেয়ে থাকেন দুবাইতে। পুলিশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর রিপোর্ট তৈরি করেছে। পরিবারের লোকজন এখন শোকস্তব্ধ। তাই তাঁদের পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা