তাকে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নাহলে সে স্কুল উড়িয়ে দেবে। স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় বোমা রেখে দিয়েছে সে। এমনকি নিজের বাড়িতেও বোমা রেখে দিয়েছে। টাকা না পেলে সে ওই বোমাগুলিকে সক্রিয় করে গোটা স্কুল উড়িয়ে দেবে। এমনই একটি হুমকি চিঠি গত রবিবার হাতে পান স্কুলের ম্যানেজার। তিনি তখনই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বম্ব স্কোয়াড নিয়ে এসে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু কোনও বোমার চিহ্ন স্কুলে পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিষয়টি এখানেই মিটে যায়না।
গত মঙ্গলবার ফের স্কুলের ম্যানেজারের কাছে একটি চিঠি আসে। তাতে লেখা ছিল ২ লক্ষ টাকা না পেলে স্কুল যেন চরম পরিণতির জন্য তৈরি থাকে। ফের খবর যায় পুলিশে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।
বোমা না পেলেও এমন কাণ্ড যাতে আর না ঘটে সেজন্য কে এর পিছনে রয়েছে তা খুঁজে দেখার চেষ্টা শুরু করে। আর তখনই তাদের নজর পড়ে যে চিঠি ২টি এসেছে তার কাগজের দিকে।
চিঠি লেখা হয়েছিল একটি স্কুলে ব্যবহৃত বিজ্ঞান খাতার পাতা ছিঁড়ে। দ্রুত পুলিশ আধিকারিকরা স্কুলে পৌঁছন। সেখানে স্কুলের দরজা বন্ধ করে নবম ও দশম শ্রেণির ঘরে ঢোকেন। তারপর সব ছাত্রকে তাদের বিজ্ঞান খাতা বার করার নির্দেশ দেয়।
প্রত্যেকের খাতা পরীক্ষা শুরু করে পুলিশ। তখনই দশম শ্রেণির এক ছাত্রের খাতার ২টি পাতা ছেঁড়া অবস্থায় পান পুলিশ আধিকারিকরা। ওই ছাত্রকে তাঁরা আলাদা নিয়ে গিয়ে জেরা শুরু করেন। তখনই ওই ছাত্র পুলিশের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার মুখে স্বীকার করে সে ওই কাজ করেছে। তবে সে নিজের ইচ্ছায় করেনি। তাকে করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
পুলিশ ওই ছাত্রের পিছনে আদৌ কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। ওই ছাত্রকেও আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা