ফেব্রুয়ারিও প্রায় শেষ লগ্নে। চারিদিকে ভরা বসন্ত। তারমধ্যেই শৈলশহর সিমলায় রাতভর হল তুষারপাত। ৩ সেন্টিমিটার বরফের তলায় চলে গেছে হিমাচলের এই রাজধানী শহর। চারদিক সাদা বরফে ঢাকা। নতুন করে তুষারপাতের জেরে পারদ অনেকটাই পড়েছে। কনকন করছে ঠান্ডা। ০.২ ডিগ্রিতে নেমে গেছে সিমলার পারদ। যদিও শীতের শুরু এবং মধ্যভাগে হিমাচলে প্রচুর তুষারপাত হলেও সিমলায় বরফ পরছিলনা। শীতের শেষে পৌঁছে সেখানেও শুরু হয়েছে তুষারপাত। আর তাতেই পোয়া বারো হোটেলগুলির।
শুক্রবার গোটা সিমলাটা সাদা বরফের চাদরে ঢাকা। চারদিক ছবির মত সুন্দর দেখাচ্ছে। পাহাড় যে এখানে সুন্দরী রমণীর রূপ নিয়েছে। এমন এক তোফা পরিবেশ তাও আবার সপ্তাহের শেষের দিকে। তাই সিমলার হোটেল ব্যবসায়ীরা দারুণ ব্যবসার আশায় বুক বাঁধছেন। সপ্তাহের শেষে সিমলায় বরফ অনেক পর্যটককে টেনে আনবে বলেই তাঁদের আশা। সিমলায় এমনটাই হয়ও। এখানে তুষারপাত মানেই রাতারাতি হোটেলে আর তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে এখানে।
সিমলার পাশাপাশি কুফরি-তেও প্রবল তুষারপাত হয়েছে। সেখানে ১৩ সেন্টিমিটার পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, গাছপালা। লাহুল-স্পিতির মত উঁচু পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও প্রচুর তুষারপাত হয়েছে। এসব জায়গায় পারদ মাইনাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক রাস্তা অবশ্য বন্ধ। কারণ রাস্তা পুরু বরফের তলায় হারিয়ে গেছে। হিমাচলের পাহাড়ি এলাকায় যখন তুষারপাত হচ্ছে চুটিয়ে, তখন নিচু এলাকা ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টিতে। সব মিলিয়ে তুষারপাত ও বৃষ্টি পারদ অনেকটাই নামিয়ে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা