
শনিবার সকাল। বাড়ির সদর দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হতে এগিয়ে আসেন এক মধ্যবয়সী মহিলা। কেউ এসেছে। কড়া নাড়ছে। তাই এসে দরজা খুলে দেন তিনি। দরজা খুলেই আঁতকে ওঠেন রমাদেবী নামে ওই মহিলা। সামনেই তাঁর দিকে তাক করা রয়েছে একটি রিভলভার। খুব দ্রুত তিনি বুঝতে পারেন বিপদ একদম সামনে। বন্দুকের নলের সামনে থেকে এক ঝটকায় সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য গুলি চলেছে। ঝটকায় সরে যাওয়া কাজও করে। গুলি তাঁর কানের কিছুটা অংশ উপড়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়। চিৎকার করে ওঠেন তিনি।
সকালের দিক হওয়ায় আশপাশে স্থানীয় লোকজন ছিলেন। তাঁরা গুলির শব্দ ও ওই মহিলার আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন। বেগতিক বুঝে যে গুলি চালিয়েছিল সে তেড়ে আসা মানুষজনের দিকে পিস্তল ও একটি ব্যাগ ছুঁড়ে দিয়ে ছুটে পালায়। অভিযোগ একটি অটো করে এলাকা থেকে চম্পট দেয় ওই যুবক। রক্তাক্ত রমাদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবক গুলি চালায় সে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ওই মহিলার মেয়েকে সে ভালবাসত। মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয় সে। কিন্তু ওই তরুণী সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। নাছোড় সেনাকর্মী ওই তরুণীকে এরপর জোর করতে শুরু করে। নানাভাবে উত্যক্তও করতে থাকে। ফলে তরুণীর পরিবার পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তাতেই রেগে শনিবার সকালে তরুণীর মায়ের ওপর গুলি চালায় বালাজি নামে ওই যুবক। দিশি রিভলভার থেকে গুলি চালায় সে। তাকে যে অটো চালক পালাতে সাহায্য করেছিল তাকে আটক করেছে পুলিশ। বালাজির খোঁজ চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলার নাদিমপল্লি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা