সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আগুন জ্বলল দিল্লিতে। আমেদাবাদে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিমান নামার অপেক্ষায় তখন দিল্লির মৌজপুর এলাকায় সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারীদের মধ্যে পাথর বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টির মত পাথর উড়ে আসতে থাকে দুদিক থেকেই। বেলা ১০টা থেকে সংঘর্ষ ক্রমশ ছড়াতে থাকে। পুলিশ ২ পক্ষকে হঠানোর চেষ্টা করে। লাঠিচার্জ করা হয়। পরে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল।
যত বেলা গড়িয়েছে ততই ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে পরিস্থিতি। এরমধ্যেই সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করা পুলিশকর্মীদের ১ জন গোকুলপুরী থানার হেড কনস্টেবলের বড়সড় চোট লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ডিসিপি পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিনের সংঘর্ষ এতটাই লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছিল যে ২ পক্ষের তো বটেই এমনকি পুলিশের অনেকে কমবেশি আহত হন। পুলিশ পরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে অবস্থা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করতে থাকে।
মৌজপুর থেকে যে সংঘর্ষ এদিন ছড়ায় তা কিন্তু এদিন থামা তো দূর বরং গোকুলপুরী, কবীরনগর, জাফরাবাদ, ভজনপুরা সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। ভজনপুরাতে একটি পেট্রোল পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আরও কয়েকটি অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। রাস্তার ওপর অগুন্তি পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়। নামে আধাসামরিক বাহিনী। উত্তরপূর্ব দিল্লির ১০টি জায়গায় কার্ফু জারি করে পুলিশ।
গত রবিবারও দিল্লি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। কিন্তু এদিন তারা প্রথমে পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ। ফলে অবস্থা জটিল আকার নেয়। সোমবার সন্ধেয় আগ্রা থেকে ট্রাম্প দিল্লিতে ফিরে রাতটা সেখানেই কাটাবেন। এই অবস্থায় দিল্লি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠা অবশ্যই প্রশাসনের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি সোমবার শান্ত করা কঠিন হলেও বিকেলের পর অবস্থা অনেকটা শান্ত হয়। রাজপথের দখল নেয় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা