দিল্লি এককথায় জ্বলছে। গত রবিবার থেকে সিএএ সমর্থনকারী ও সিএএ বিরোধীদের মধ্যে যে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল তা গত সোমবার ভয়ংকর চেহারা নেয়। যা মঙ্গলবারও অব্যাহত। ইতিমধ্যেই এক পুলিশকর্মী সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে। আহত অনেক। ভজনপুরা এলাকায় একটি বাজার জ্বালিয়ে দিয়েছে সংঘর্ষকারীরা। আগুন নেভাতে এলে দমকলকর্মীদেরও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যখন দমকল আগুন নেভানোর জন্য সেখানে পৌঁছতে পারে ততক্ষণে পুরো বাজার ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই, ভজনপুরা, মৌজপুর, কবীরনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় ২ পক্ষে ব্যাপক ইট বৃষ্টি শুরু হয়। প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল কম।
ইট বৃষ্টি তো হয়েছেই। অনেক জায়গায় পেট্রোল বোমাও ছোঁড়া হয়েছে। এমনকি গুলিও চলেছে বলে খবর। পাল্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও পরপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ বলেও খবর। কিন্তু পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভই হয়ে থেকেছে। মঙ্গলবার দিনভরই দফায় দফায় সংঘর্ষ চলেছে। দিল্লির কিছু অংশে গত সোমবারই ১৪৪ ধারা জারি হয়েয়ে। তারমধ্যেই চলছে সংঘর্ষ।
যে ব্যক্তিকে সংঘর্ষের মাঝে গত সোমবার বন্দুক উঁচিয়ে দেখা গিয়েছিল, তাকে আটক করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এদিন আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানতে পারা যাচ্ছে। অনেক জায়গাতেই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সংঘর্ষকারীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে সাংবাদিকদের। অনেক জায়গায় সাংবাদিকদের ক্যামেরা থেকে ফুটেজ ডিলিট করতে বাধ্য করা হয়। অনেক জায়গায় তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। একজন সাংবাদিক সংঘর্ষ কভার করার সময় গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা