দিল্লিতে ফ্ল্যাগ মার্চ করছে আধাসেনা। অনেক জায়গায় দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ রয়েছে। ফলে পুলিশের তরফে সকলকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোম বা মঙ্গলবারের মত হিংসাত্মক পরিস্থিতি বুধবার না থাকলেও দিল্লি কিন্তু থমথমে। কার্ফুর মধ্যেও কোথাও কোথাও বুধবার সকালে হিংসার ঘটনা ঘটে। ভজনপুরা এলাকায় এদিন সকালেও ইট বৃষ্টির ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু বাড়ি ও দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় সংঘর্ষকামীরা। এদিন বেশ কিছু এলাকা থেকে পুলিশে ফোন যায়। কিছু পরিবার আতঙ্কে ফোন করেন তাঁদের উদ্ধার করার জন্য। তাঁদের উদ্ধারও করে পুলিশ। গত মঙ্গলবারই জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল কিছু এলাকা ঘুরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন দিল্লিতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে ট্যুইট করেন। তিনি বলেন, শান্তি ফেরাতে পুলিশ কাজ করছে। এরমধ্যেই এক আইবি আধিকারিকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দিল্লির চাঁদবাগ এলাকার একটি নর্দমায় পড়েছিল ওই আধিকারিকের দেহ। পুলিশের ধারণা গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। এদিকে দিল্লিতে সংঘর্ষের জেরে মৃতের সংখ্যা ২১ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ ঘেঁষা জোহরপুর এলাকাতেও এদিন অশান্তির ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু দোকান, বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। সেনার ফ্ল্যাগ মার্চের ফলে অবশ্য বুধবার অনেক জায়গা ঠান্ডা হয়েছে। চাপা একটা থমথমে ভাব থাকলেও রাস্তায় নেমে যে সংঘর্ষ গত ২ দিনে ভয়ংকর চেহারা নিয়েছিল তা এদিন হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ২ দিন দিল্লি রইলেন সে ২ দিনই দিল্লির পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়েছিল। এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ব্যক্ত করেছে দিল্লি হাইকোর্টও। শাহিনবাগ নিয়ে শুনানিও পিছিয়ে গেছে। হোলির পর হবে শুনানি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা