বিচারপতি এস মুরলীধর-এর বদলি আইন মেনেই হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম এই সিদ্ধান্ত গত ১২ ফেব্রুয়ারিই নিয়েছে। সেইমতই বদলি করা হয়েছে বিচারপতিকে। যে নিয়মাবলী রয়েছে একজন বিচারপতিকে বদলি করার তা এক্ষেত্রে পালিত হয়েছে। কংগ্রেস বিচারপতি এস মুরলীধরের এই রুটিন বদলি নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
দিল্লি হিংসার মামলার শুনানি হচ্ছে দিল্লি হাইকোর্টে। গত বুধবার বিচারপতি এস মুরলীধর-এর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। যেখানে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা সত্ত্বেও বিজেপি-র ৪ নেতার বিরুদ্ধে কেন এফআইআর করা হয়নি সেকথা পুলিশের কাছে জানতে চান বিচারপতি। এ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনাও করেন তিনি। দ্রুত এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। তারপর বুধবার রাতেই তাঁকে বদলি করা হয় পঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে।
এই বদলির পরই কংগ্রেস সকাল থেকে সোচ্চার হয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং কংগ্রেস দলের তরফে রণদীপ সূরজেওয়ালা বিচারপতির বদলিতে কেন্দ্রের হাত রয়েছে বলে বুঝিয়ে দেন। কেন্দ্রের দিকেই ছিল তাঁদের নিশানা। কংগ্রেসের দিক থেকে এই লাগাতার আক্রমণের পর পাল্টা আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানানোর চেষ্টা করেন কেন বিচারপতি এস মুরলীধরকে বদলি করা হল। তাঁর দাবি, কংগ্রেস রাজনীতি করলেও এই বদলি রুটিন বদলি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা