গত রবিবার থেকে গত বুধবার পর্যন্ত প্রবল অশান্তি দেখেছে দিল্লি। আগুন, ইটবৃষ্টি, গুলি, পেট্রোল বোমা, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। দিন গড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত দিল্লি হিংসায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০০ জনের ওপর আহত। বহু মানুষ এখনও ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। কেউ আবার ঘরে ফিরতে চাইলেও ঘর কোথায়! হিংসাকামীরা সেসব ঘরকে শ্মশানে পরিণত করেছে।
এখনও অনেক মহল্লা কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়ে পড়ে আছে। তবু এসবের মধ্যেই একটা শান্তি যে দিল্লি শান্ত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই দিল্লি শান্ত হতে শুরু করে। শনিবার সকালে অনেক জায়গায় দোকানপাট খোলে। মানুষ বাড়ি থেকে একটু একটু করে বাইরে বার হতে শুরু করেছেন।
দোকানপাট খুললেও এখনও একটা চাপা আতঙ্ক কিন্তু কাজ করছে। তবু স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লি। পোড়া মহল্লা, বাজার সাফ করে সেখানে ফের আগের মত ফিরতে চাইছেন বাসিন্দারা। জীবনযাপন করতে চাইছেন। দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হতে চাইছেন। এখনও দিল্লির অনেক জায়গায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। যথেষ্ট নজরদারি রয়েছে। এদিকে যেটুকু দোকান খুলছে সেখানে ভিড় হচ্ছে। জিনিসপত্রের দামও অপেক্ষাকৃত বেশি।
মানুষজন আপাতত খাবার জিনিসের দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন। যেটুকু পারছেন কিনছেন। দাম একটু বেশি হলেও এখন সেসব নিয়ে ভাবার সময় তাঁদের নেই। খাবারটা পাওয়া দরকার। এখনও বহু এলাকায় একের পর এক বাড়ি পুড়ে কালো হয়ে দাঁড়িয়ে। রাস্তায় পড়ে অজস্র ইট, পাথর। আর পড়ে আছে সাইকেল থেকে স্কুটার, বাইক থেকে গাড়ির পোড়া ধ্বংসস্তূপ। দ্রুত অবস্থা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। দিল্লির মানুষও অপেক্ষায়, কবে আবার তাঁদের এক সপ্তাহ আগের দিল্লিকে, তাঁদের চেনা গলি, মহল্লাকে ফেরত পাবেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা