বিয়ের আগে, সাত পাকে বাঁধা পড়ার আগে, অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে হওয়ার আগের মুহুর্তে কনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা রুপোলী পর্দা থেকে বাস্তব জীবন, সর্বত্রই দেখা গেছে। কিন্তু বাস্তব জীবন তো নয়ই, এমনকি সিনেমাতেও এমন ঘটনা হয়তো দেখানো হয়নি। বিয়ে হল। ধুমধাম করেই হল। পাত্রপক্ষও খুশি। কন্যা পক্ষও খুশি। খুশি যে ২ জনের ৪ হাত এক হল তাঁরাও। একদম নিখুঁত অভিনয়। কে জানত যে পরদিন বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই হঠাৎ প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেবে কনে!
গত বুধবার বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়। পরদিন যখন বরের পরিবার থেকে ২ জনকে নিতে আসা হয় তখন জানতে পারা যায় যে মেয়ে বেপাত্তা। গ্রামের লোকজন পাত্রপক্ষকে জানান মেয়ে তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে। এমনকি এই নিয়ে বলার জন্য কনে পক্ষের কাউকেও পাওয়া যায়নি। কারণ বাড়ির মেয়ের এমন কাণ্ডের পর তাঁরা বেপাত্তা হয়ে যান।
তাহলে বিয়ে দিল কেন? কেন বিয়ের পিঁড়িতে বসে ৪ হাত এক করল? এ প্রশ্ন করার জন্য অবশ্য কাউকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয় পাত্রপক্ষ। এদিকে কনে পালানোয় বিয়ে করেও পাত্র মন খারাপ করেই গ্রাম ছাড়ছিলেন। এমন সময় গ্রামেরই কয়েক জন তাঁর ও তাঁর পরিবারের পথ আটকান।
গ্রামের এক পরিবার তাঁদের মেয়ের সঙ্গে ওই পাত্রের বিয়ে দিতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়। অনুমতি মিললেই হল। গ্রামের গণ্যমান্য মানুষরাও একসঙ্গে হয়ে এই বিয়ের প্রস্তাব পেশ করেন। পাত্রপক্ষও পাত্রের সঙ্গে কথা বলে এই বিয়েতে সম্মত হয়ে যায়। বিয়ে হয়।
বৃহস্পতিবার ফের বিয়ে হয় উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার ভগবানপুর গ্রামের সুশীল কুমারের সঙ্গে বিহারের গোপালগঞ্জের মেয়ে সুনিতার। গ্রামের একটি কালীমন্দিরে সব নিয়ম মেনেই বিয়ে হয়। আগের রাতেই যাঁকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর সঙ্গে সংসার করা হল না সুশীল কুমারের। বরং তার পরদিন ফের তাঁর যাঁর সঙ্গে বিয়ে হল তাঁর সঙ্গেই আপাতত জীবন শুরু করলেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা