ঘড়ির কাঁটায় রাত ৮টা। এমন কিছু রাত নয়। বাড়ির মধ্যেই ঘরের সামনে খোলা দাওয়া। সেখানেই খেলা করছিল ৩ বছরের ছোট্ট মেয়েটা। আপন মনে খেলার সময় বুঝতেও পারেনি কখন চুপিসারে তার কাছে পৌঁছে গেছে বিপদ। এই খেলছিল এখানে। এই কোথায় চলে গেল? দাওয়ায় মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের সবাই তাকে তন্নতন্ন করে খোঁজা শুরু করেন। গ্রামের সকলেই প্রায় তাতে যোগ দেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শিশুটির দেহ পাওয়া যায়। তার হাতে ও মুখে লেপার্ডের কামড়ের দাগ ছিল।
এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও দানা বেঁধেছে। দ্রুত সেখানে হাজির হয় পুলিশ। খবর পেয়ে হাজির হন রাজ্যের বনমন্ত্রীও। তিনি ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে কর্ণাটকের তুমকুর জেলার বাইচানালি গ্রামে। ঘটনার পর বনমন্ত্রী নিজে লেপার্ডটিকে দ্রুত পাকড়াও করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নিয়ে তুমকুরে গত ৪ মাসে ৪ জন লেপার্ডের শিকার হলেন।
কাছে জঙ্গলে ইতিমধ্যেই জাল পেতেছেন বনকর্মীরা। মোট ২৫টি ফাঁদ পাতা হয়েছে জঙ্গল জুড়ে। এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে যাতে ওই লেপার্ডের গতিবিধি সম্বন্ধে জানতে পারা যায়। লেপার্ডটিকে পাকড়াও করতে বান্দিপুর টাইগার রিজার্ভ-এর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদেরও পরামর্শ নেওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা