স্বামী-স্ত্রী ও ২ সন্তান। এই নিয়েই সুখের সংসার। ৪০ বছরের প্রদীপ একটি প্রথমসারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী ৩৫ বছরের স্বাতী ও ২ ছেলেমেয়ে ৬ বছরের কল্যাণ ও ২ বছরের জয়া, এই নিয়েই ছিল প্রদীপ কৃষ্ণার সুখের সংসার। এই পরিবারটিকে গত শুক্রবারও দেখা গেছে। প্রতিবেশিরা তাঁদের বার হতে দেখেছেন। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে তাঁদের আর বাড়ি থেকে বার হতে দেখা যায়নি। প্রথমে সন্দেহ না হলেও সোমবার তাঁরা সকালেই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
ভিতরে তখন বিছানার ওপর পড়ে আছে ৪ জনের নিথর দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান প্রদীপ কৃষ্ণাই তাঁর স্ত্রী ও ২ সন্তানকে হত্যা করেন। তারপর নিজে আত্মঘাতী হন। পুলিশের এও অনুমান যে স্ত্রী ও ২ সন্তানের খাবারে কোনওভাবে বিষ মিশিয়ে দেন প্রদীপ। তারপর সেই গরল নিজেও পান করেন। ৪ জনেরই মৃত্যু হয়। ৪ জনের দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কেন এভাবে একটা সুখের সংসারে নেমে এল অন্ধকার? কেন এমন চরম পদক্ষেপ করলেন প্রদীপ কৃষ্ণা? পুলিশের অনুমান এর পিছনে রয়েছে আর্থিক সমস্যা। চরম আর্থিক সমস্যায় পড়ে কোনও রাস্তা খুঁজে না পেয়ে এভাবে গোটা পরিবারকে শেষ করে নিজে আত্মঘাতী হন প্রদীপ। যদিও সবটাই পুলিশের অনুমান। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের এলবি নগরের হস্তিনাপুরমে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা