পরিবারের বড় ছেলের বিয়ে যে বাড়িতে সেই পরিবারে আবার ২ মেয়ে। বড় মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বড় ছেলের। আর তাঁদের বিয়ের পর ২ পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ২ পরিবারের দেওর ও শালীকে কাছাকাছি এনে দেয়। তাঁদের মধ্যে ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে সম্পর্ক। এক সময় তা পরিবারের কানেও যায়। মেয়ের পরিবারের আপত্তি তো ছিলই, পাশাপাশি বেঁকে বসে ছেলের বাড়িও। বড় ছেলের যে পরিবারে বিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই পরিবারেই আবার ছোট ছেলেও বিয়ে করবে এটা তাঁরা মেনে নিতে পারেননি।
২ পরিবারকে অনেক করে বোঝানোর চেষ্টা চালান ২৪ বছরের রামনিবাস ও তাঁর দাদার ১৯ বছরের শ্যালিকা। কিন্তু কিছুতেই রাজি করানো যায়নি ২ পরিবারকে। গত সোমবারও তাঁরা চেষ্টা চালান বোঝানোর। কিন্তু কাজ হয়নি। অবশেষে তাঁরা ২ জনেই দেখা করেন রাতে। লুকিয়ে সেই দেখাই শেষ দেখা হয়। পরদিন রামনিবাসের দেহ পাওয়া যায় তাঁর বাড়ি থেকে। আর মেয়েটির দেহ পাওয়া যায় তাঁর বাড়ি থেকে।
পুলিশের অনুমান ২ জনেই বিষ খেয়ে মৃত্যুকে বেছে নেন। এদিকে এই মৃত্যু নিয়ে কোনও কথাই বলতে রাজি নয় ২ পরিবার। এমনকি ২ জনের মধ্যে যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তাঁদের অমতে ২ জনের বিয়ে হয়নি, এসব কথাও ২ পরিবারের কারও মুখ থেকে বার হয়নি। পুলিশ প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা জানতে পারে। আপাতত ২ জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা