দিল্লি হিংসা চলাকালীন আইবি আধিকারিক অঙ্কিত গুপ্তা-র দেহ পাওয়া যায়। নির্মমভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল সেইসময় আম আদমি পার্টি-র কাউন্সিলর তাহির হুসেনের। তাহির হুসেনের বাড়ি থেকে পেট্রোল বোমা, প্রচুর পাথরও উদ্ধার হয়। দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসার পর তাহির হুসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে আপ। বলা হয় তাহির যতদিন না নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছেন ততদিন তাঁকে দলে ফেরত নেওয়া হবে না।
একাধিক অভিযোগ সামনে আসার পর পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করে। পুলিশ তাঁর বাড়িতেও হানা দেয়। কিন্তু ততক্ষণে তাহির হুসেন বেপাত্তা হয়ে যান। তাঁকে নানা জায়গায় খোঁজা হচ্ছিল। এরমধ্যেই তাহির হুসেন আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন না মঞ্জুর করে দেয় আদালত। তারপরই তাঁকে দিল্লির হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ও আইবি আধিকারিক হত্যায় মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিল্লি হিংসায় তাহির হুসেনের বাড়ি যেখানে সেখানে বড়সড় তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু বাড়ি পোড়ে। এদিকে আপ সবে দিল্লিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে। সেখানে তাহির হুসেন তাদেরই দলের নেতা হওয়ায় ও তাঁর নাম জড়াতেই তড়িঘড়ি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে আপ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আবার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দলের কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে যেন প্রাপ্য সাজার দ্বিগুণ দেওয়া হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা