প্রেমিকার নামে হোটেলের ঘর বুক করা। তারপর সেই ঘরে খুব দরকারি কথা আছে বলে ভুল বুঝিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে যাওয়া। সেখানে প্রেমিকার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি করা। ওই তরুণী যাতে বেঁকে না বসেন সেজন্য তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি না রাখতে প্রেমিকাকে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করা। সব করছিল বেঙ্গালুরুর ২৫ বছরের তরুণ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক দীপক রাঠি। সেখানেই শেষ নয়। তারপরও সে আরও কুকীর্তি করে।
ওই তরুণী শারীরিক সম্পর্কের পর দীপককে বিয়ের জন্য বলেন। কিন্তু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বিয়ে দূর তাঁর সঙ্গে সম্পর্কেই ইতি টানার চেষ্টা শুরু করে। যখন ওই তরুণী শৌচালয়ে ছিলেন তখন সেখানে তাঁর ছবি তুলে নেয় ওই তরুণ চিকিৎসক। ওই অবস্থায় তোলা ছবি দেখিয়ে শুরু করে তরুণীকে ব্ল্যাকমেল। তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গেলে এসব ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখায়। তরুণীর ফোন কেড়ে তাদের সম্পর্কের সব প্রমাণ ডিলিট করে দেয়। নিজের ফোন থেকেও সবকিছু ডিলিট করে ওই চিকিৎসক।
রেখে দেয় স্নানাগারে তোলা তরুণীর ছবিগুলি। যা দিয়ে তার তরুণীকে ভয় দেখাতে সুবিধা হয়। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। পুলিশ তদন্তে নেমে দীপক রাঠি নামে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ রয়েছে। গুরুগ্রামের ছেলে দীপক আপাতত গারদে। তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা