৩ মেয়েকে নিয়ে শুক্রবার সকালে দিঘির ধারে যায় বাবা। মেয়েরা নিশ্চিন্ত ছিল যে তারা বাবার সঙ্গে দিঘির ধারে বেড়াতে এসেছে। কিন্তু তারা জানতও না যে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। দিঘির ধারে আনার পর একসময় সুযোগ বুঝে ৩ মেয়েকে ওই দিঘির জলেই ঠেলে দেয় বাবা। জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকে তারা। তারপর একসময় জলে তলিয়ে যায়।
৩ মেয়েকে দিঘির জলে ঠেলে ফেলে শেষ করে অবশ্য রেহাই পায়নি বাবা ফৈয়াজ। তাকে পরে গ্রেফতার করে করে পুলিশ। ৩ মেয়ের দেহও দিঘি থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩ মেয়ের একজনের বয়স ১০, মেজ মেয়ে মাহিন ৯ বছরের এবং ছোট মেয়ে জোয়া ৭ বছর বয়সের। বাবা হয়ে কীভাবে ৩ মেয়ের সঙ্গে ফৈয়াজ এই কাণ্ড ঘটাতে পারল তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয় মানুষও।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার তাড়কোলে গ্রামে। এখানেই পেশায় দিনমজুর ফৈয়াজ তার স্ত্রী ও ৩ কন্যাকে নিয়ে থাকত। ফৈয়াজের জুয়া খেলার প্রবণতা ছিল। যা নিয়ে তার সঙ্গে তার স্ত্রীর অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবারও সকালে সে স্ত্রীর কাছে জুয়া খেলার জন্য টাকা চায়। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন স্ত্রী। তারপরই ৩ মেয়েকে নিয়ে দিঘির ধারে চলে যায় ফৈয়াজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা