শনিবার সাতসকাল। ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কে তখন গাড়ির বড় একটা চাপ নেই। ফলে যে কটি গাড়ি রয়েছে তারা গন্তব্যের দিকে ছুটে চলেছে তীব্র গতিতে। তেমনই যাচ্ছিল একটি ট্রাক্টর ও একটি স্করপিও গাড়ি। অবশ্যই স্করপিও-র গতি ট্রাক্টরের চেয়ে বেশিই ছিল। ২টি দুদিক থেকে ছুটে আসছিল। সেই সময়ই ২টির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্করপিও-র গতি এতটাই ছিল যে সংঘর্ষের পর টুকরো টুকরো হয়ে যায় স্করপিওটি।
সাত সকালে সংঘর্ষের জেরে তৈরি হওয়া তীব্র শব্দে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। সকালেই ভিড় জমে যায় বিহারের মুজফ্ফরপুরের কান্তি ব্লকের কাছে ২৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর। রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে অন্য গাড়ি। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত হাজির হয় পুলিশও। শুরু হয় দেহ উদ্ধারের কাজ।
১১ জনকে ঘটনাস্থলেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্করপিওতে থাকা যাত্রীদেরই মৃত্যু হয়েছে। এঁরা সকলেই হাথাউরি এলাকার বাসিন্দা। বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু সেই ফেরা আর হল না। পথেই শেষ হয়ে গেল জীবন। দুর্ঘটনার কারণ পরিস্কার নয়। তবে অতিরিক্ত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা