টানটান উত্তেজনার মধ্যে সপা, বসপা-র বিধায়কদের সমর্থনে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। সেই লড়াইয়ে বিজেপিকে পরাস্ত করলেও গৃহযুদ্ধ নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে আসে কংগ্রেস হাইকমান্ডের। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসির অন্যতম দাবিদার ছিলেন ২ জন। বর্ষীয়ান কমলনাথ এবং রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ তরুণ নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। এই অবস্থায় জ্যোতিরাদিত্যকে বুঝিয়ে কমলনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তারপর ১৫ মাসে এই সরকারে বারবারই ঢোক গিলে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দাবি ছেড়ে দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য বিদ্রোহ করেছেন। এবার তিনি একেবারে সরকার ফেলার উপক্রম করে ছাড়লেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে সোমবার হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান। কংগ্রেসের ঘরপোড়া গরুর মত অবস্থা। কর্ণাটকে এমন কাণ্ড তারা দেখেছে। এবার মধ্যপ্রদেশে! তাহলে কী এবার এই রাজ্যও হাতছাড়া হতে চলেছে তাদের?
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ শোনা যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে ১৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ক রয়েছেন একটি রিসর্টে। তাঁদের ফোন সুইচ অফ রয়েছে।
অবস্থা যে সুবিধের নয় তা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের কাছেও পরিস্কার। তিনি সোমবার সকালে দিল্লিতে ছিলেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী প্রধান সনিয়া গান্ধীকে তিনি পুরো পরিস্থিতি জানিয়েও আসেন। তারপর দিল্লি সফর কাটছাঁট করে ফেরেন ভোপালে। সেখানে সোমবার বিকেলেই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা