গুটখা খাওয়ার অভ্যাসটা অনেক দিন আগেই তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি। ২৪ বছরের তরুণী। কিন্তু গুটখা তাঁর জীবনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। যা নিয়ে তাঁর বাবার যথেষ্ট আপত্তি ছিল। তিনি রাগারাগি করতেন। অনেকবার মেয়েকে এমন একটা অভ্যাস ত্যাগ করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। সোমবার ওই তরুণী বাড়িতে রান্না করছিলেন। আর মুখে ছিল গুটখা।
রান্না করতে করতে গুটখা খাওয়া নিয়ে তাঁর বাবা ও তাঁর তুতোভাই তরুণীকে বকাঝকা করেন। এই বকুনি সহ্য করতে পারেননি তিনি। বকুনি খেয়ে সোজা ঢুকে পড়েন নিজের ঘরে। ঢোকার আগে সঙ্গে করে নিয়ে যান কেরোসিনের ডেক। তারপর দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
সারা গায়ে আগুন জ্বলা অবস্থায় ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী। ওই অবস্থায় তাঁকে দেখে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর তুতোভাই। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু তরুণীর দেহ এতটাই দগ্ধ হয়ে গিয়েছিল যে তাঁকে বাঁচানোর মত অবস্থা ছিলনা। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা