স্বামী রান্না করছে দেখে ভালই লেগেছিল স্ত্রীর। রাঁধছে তো! কিন্তু কী রাঁধছে? সেটা দেখতেই রান্না ঘরে হাজির হন তিনি। আর ঢুকে যা দেখেন তাতে তাঁর শিরদাঁড়া দিয়ে হিম স্রোত বয়ে যায়। আগুনে বসানো রয়েছে প্যান। প্যানের মধ্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মানুষের হাত আর আঙুল। সেটাই রান্না হচ্ছে। রান্না করছে তাঁর স্বামী ৩২ বছরের সঞ্জয়। বিষয়টি কী হচ্ছে তা বুঝতে পেরেই ছুট লাগালেন স্ত্রী। সোজা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। আর যাওয়ার আগে বন্ধ করে দিলেন দরজা। যাতে তাঁর স্বামী না বার হতে পারে।
আতঙ্কে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে ওই গৃহবধূ পাড়ায় বেরিয়ে প্রতিবেশিদের চেঁচিয়ে সাহায্য চান। তাঁদের সব কথা খুলে বলেন। দ্রুত খবর যায় পুলিশে।
পুলিশ এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। পুলিশ ভিতরে ঢুকলেও সঞ্জয়ের স্ত্রী বাড়িতে আর ঢোকেননি। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় মানুষের দেহাংশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে যে সঞ্জয় মদ্যপানে আসক্ত। সে মাঝেমধ্যেই কাছের শ্মশানে হাজির হত। সেখান থেকেই সম্ভবত সে ওই দেহাংশ সংগ্রহ করত বলে মনে করছে পুলিশ। কদিন আগে সে নিজের বাবার ওপরও আক্রমণ হেনেছিল। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে সঞ্জয় গ্রেফতার হলেও ওই বাড়িতে আর প্রবেশ করতে পারছেন না সঞ্জয়ের স্ত্রী। তিনি এতটাই আতঙ্কিত যে ওই বাড়িতে তিনি আর ঢুকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা