গোয়ালিয়রের রাজ পরিবার সিন্ধিয়া পরিবার। এলাকায় তারা রাজা নামেই খ্যাত। সেই তথাকথিত রাজবংশের সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি যোগ বহুকালের। একই পরিবারে সহাবস্থান করতেন কংগ্রেস ও বিজেপি নেতারা। সিন্ধিয়া পরিবারের রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়ার সঙ্গে যোগ ছিল জন সংঘ-এর। যা আদি বিজেপি বলে খ্যাত। বিজয়রাজে সিন্ধিয়ার ২ কন্যা বসুন্ধরা রাজে ও যশোধরা রাজে-র সঙ্গেও বিজেপির সম্পর্ক বহুকালের।
যেখানে সিন্ধিয়া পরিবারের রাজমাতা ও তাঁর ২ কন্যা বিজেপির ঘরের লোক বহুকাল ধরে, সেখানে উল্টো সুরে উল্টো পথে হাঁটতেন সিন্ধিয়া পরিবারের ছেলে মাধবরাও সিন্ধিয়া। তিনি ছিলে কংগ্রেসের কাছের মানুষ। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি ভোটেও জেতেন। সাংসদ হন। মন্ত্রিত্বও পান। কংগ্রেসের প্রথমসারি নেতাদের তালিকায় পড়তেন মাধবরাও সিন্ধিয়া।
মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছেলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বাবার মৃত্যুর পর বাবার পথে হেঁটেই কংগ্রেসের সঙ্গী হন। ঠাকুমা বা পিসিদের রাস্তার সঙ্গে তাঁর রাস্তা আলাদা ছিল। তিনি ছিলেন বাবার পথে চলা নেতা। কংগ্রেস নেতা হিসাবে উঠেও আসেন জ্যোতিরাদিত্য। কংগ্রেস তরুণ ব্রিগেডের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেও কংগ্রেসের মধ্যপ্রদেশের বড় স্তম্ভ ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। সিন্ধিয়া পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস যোগ বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনিই। বুধবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই যোগসূত্রও ছিন্ন হয়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা