১৩ জন বিধায়ক বিমান থেকে নামবেন। তার অপেক্ষায় কংগ্রেস ও বিজেপির বিধায়কেরা হাজির হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। বিধায়করা নামার আগে থেকেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চলছিল চিৎকার। এরমধ্যেই একসময়ে তাঁদের মধ্যে চিৎকার, চেঁচামেচি হাতাহাতির চেহারা নেয়। ২ দলের বিধায়কেরা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। ২ দলের বিধায়কদের মধ্যে বিধানসভার বাইরে হাতাহাতি বড় একটা দেখা যায়না।
বিমানবন্দরে এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই হতবাক হয়ে যান। কারণ এঁদেরই ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি করে মানুষ বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। তাঁরাই কিনা প্রকাশ্যে হাতাহাতি করছেন! ঘটনাটি ঘটেছে ভোপালের রাজা ভোজ বিমানবন্দরে। মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে সংকটে কমলনাথ সরকার। এই পরিস্থিতিতে ফের সরকারে ফেরার সুযোগ রয়েছে বিজেপির সামনেও।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের যে বিধায়কেরা ইস্তফা দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ১৩ জন বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে তাঁদের যেখানে রাখা হয়েছিল সেখান থেকে ফিরছিলেন। তাঁদের ইস্তফাপত্র মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়কেরা। তারপরই স্পিকার জানিয়ে দেন যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের সশরীরে তাঁর সামনে হাজির হতে হবে। সেজন্যই এদিন ১৩ জন ভোপালে ফিরছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা