বৈষ্ণোদেবী দর্শন করতে প্রত্যেক দিন বিমানে বা ট্রেনে বহু মানুষ হাজির হন শ্রীনগরে। তারপর সেখান থেকে তীর্থভ্রমণ শুরু হয়। কঠিন পথ অতিক্রম করে তাঁরা এগিয়ে চলেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের দিকে। বাসেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা হাজির হন। সেই বৈষ্ণোদেবী দর্শনও এবার বন্ধ হয়ে গেল। করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই পদক্ষেপ করল মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড। ফের কবে এই মন্দিরের দরজা সাধারণের জন্য খুলবে তাও জানানো হয়নি।
গত রবিবারই মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ড জানিয়ে দিয়েছিল কোনও বিদেশি বা অনাবাসী ভারতীয় যাঁরা হালেই বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁরা আগামী ২৮ দিন মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেননা। কিন্তু তখনও সাধারণ ভারতবাসীর জন্য মন্দিরের দরজা খোলাই ছিল। বুধবার সিদ্ধান্ত বদলে সকলের প্রবেশেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল বোর্ড।
করোনা উদ্বেগে ভারতের একের পর এক মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রভাব পড়েছে পুরীর শ্রীজগন্নাথ মন্দির থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে। বন্ধ হয়েছে মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। এখানে কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তের দেখা নেই। অন্যান্য অনেক মন্দিরই এখন ফাঁকা। অনেক মন্দিরের পরিচালন সমিতি মন্দির বন্ধের রাস্তায় হাঁটছেন। সেই তালিকায় যুক্ত হল বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের নাম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা