রাত পোহানোর অপেক্ষা। তারপরই শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় নির্ভয়া কাণ্ডে ৪ অপরাধীর ফাঁসি। তাদের সব চেষ্টা শেষ। আইনের যেসব রাস্তা খোলা ছিল সব ব্যবহার করে ফেলেছে এই ৪ জন। তিহার জেলে ফাঁসির প্রস্তুতিও প্রায় সম্পূর্ণ। তার আগে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার সিংয়ের স্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল তিনি ফাঁসি হওয়া কারও বিধবা হিসাবে জীবন কাটাতে রাজি নন। তাঁর স্বামী নির্দোষ বলেও দাবি করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতের সামনে তাঁর কাণ্ডে সকলে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন।
বৃহস্পতিবার দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের সামনে অক্ষয় কুমার সিংয়ের স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে হাজির হন। একটু পরেই তিনি হঠাৎ আদালতের সামনেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান ফেরে। এবার তিনি নিজেকে চটি দিয়ে মারতে শুরু করেন। জানান তিনি বেঁচে থাকতে চান না। তাঁর পাশে তখন তাঁর সন্তান বসে। তাঁর দাবি, ফাঁসির আগেই তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ চাই।
বিহারের ঔরঙ্গাবাদের একটি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছেন অক্ষয়ের স্ত্রী। নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ৪ জনের ফাঁসির দিনক্ষণ এর আগে ৩ বার বদল হয়েছে। দিন স্থির হলেও শেষে আইনের ফাঁক গলে নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্তরা সেই দিনকে স্থগিত করিয়ে ছাড়ছিল। এ নিয়ে নির্ভয়ার বাবা-মা তো বটেই, এমনকি ক্ষুব্ধ ছিলেন দেশবাসীও। অবশেষে ২০ মার্চ ফাঁসির দিন স্থির হওয়ার পর সরকারি আইনজীবীরাই জানান আর কোনও আইনি পথ তাদের জন্য খোলা নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা