৭ বছর পর শুক্রবারের ভোর ন্যায়বিচার দিল নির্ভয়াকে। ২০১২ সালে পৈশাচিক অত্যাচারের পর যে তরুণী অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে জীবনের সঙ্গে শেষ লড়াইটা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন। সেই নির্ভয়ার শরীর নিয়ে পিশাচের খেলায় মেতে ওঠা ৪ জনের ফাঁসি হল এদিন। নির্ভয়া কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ও মৃত্যু দণ্ডাজ্ঞাপ্রাপ্ত ৪ জন মুকেশ, বিনয়, অক্ষয় এবং পবন-এর ফাঁসি হল আদালতের দেওয়া সময় মেনেই। ঠিক ভোর সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে ফাঁসি হয় এই ৪ জনের। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সারা দেশ হয়ত এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় ছিল। অপেক্ষায় ছিলেন নির্ভয়ার মা-বাবা। এদিন ফাঁসি সম্পূর্ণ হওয়ার পর নির্ভয়ার মা বলেন, তাঁর ভাল লাগছে, কারণ তাঁর মেয়ে অবশেষে ন্যায় বিচার পেল। যে জল্লাদ এই ফাঁসি দিলেন সেই পবন জল্লাদও ফাঁসির পর জানান, তিনি খুশি। অনেক দিন ধরে তিনি এই মুহুর্তটার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন বলেও জানান পবন জল্লাদ। এদিন ফাঁসি সম্পূর্ণ হওয়ার পর তিহারের সামনে কিন্তু আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।
করোনার জেরে দেশজুড়ে এখন অনেকেই স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। তারমধ্যেও এদিন বহু মানুষ তিহার জেলের সামনে হাজির হন। ফাঁসি হওয়ার খবর বাইরে আসতেই তাঁরা আনন্দে ফেটে পড়েন। স্লোগান ওঠে নির্ভয়া জিন্দাবাদ। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানান সকলে। ফাঁসি হয়ে গেছে এই খবর বাইরে আসতেই অনেকে হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় বার হন। আইনের ফাঁক খুঁজে এর আগে ৩ বার ফাঁসি শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে দিয়েছিল এই ৪ অভিযুক্ত। তাই এদিন ফাঁসি হওয়া পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন সকলে। তারপর ফাঁসি হতেই আনন্দে ফেটে পড়েন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা