দেশের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির তিরুপতি মন্দির। সেই মন্দির আপাতত করোনার জেরে বন্ধ হল। মন্দির কর্তৃপক্ষ তিরুমালার বালাজি মন্দির বন্ধের কথা ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার। শুধু তিরুপতি মন্দির বলেই নয়, অন্ধ্রপ্রদেশের সব মন্দিরই আপাতত বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশ জুড়েই বিখ্যাত মন্দিরগুলিতে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ করতে শুরু করেছে সেসব মন্দিরের কর্তৃপক্ষ বা পরিচালন সমিতি।
রাজস্থানেও একই পরিস্থিতি। রাজস্থানের বিখ্যাত খাটুশ্যাম মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। বন্ধ করা হয়েছে গোবিন্দদেবজি-র মন্দিরও। অনেক বিখ্যাত মেলা বা উৎসব বন্ধ। গত বুধবারই বন্ধ করা হয়েছিল রাজস্থানের বিখ্যাত ব্রহ্মা মন্দির। আবার রামদেওরা মন্দিরে ভক্তদের জন্য সারাদিন মন্দির খোলা না থাকলেও দিনে আপাতত ৩ বার তাঁরা দর্শন করতে পারছেন।
পশ্চিমবঙ্গে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে তারাপীঠের মন্দির। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ এই মন্দির। এছাড়া হংসেশ্বরী মন্দিরের দরজাও বন্ধ হয়ে গেল ভক্তদের জন্য। কোচবিহারের বিখ্যাত মদনমোহন মন্দিরে ভোগ নিবেদন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের কিছু মন্দির খোলা থাকলেও সেখানে ভক্তদের সমাগম প্রায় নেই বললেই চলে।
শুক্রবার সকালে কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির দরজাও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। রাজ্যের সব মেলা ও উৎসব বন্ধ হয়ে গেছে। চৈত্র জুড়ে নানা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেসবও এখন বন্ধ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা