করোনা রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন রবিবার জনতা কার্ফু সফল করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে এটা একটা লড়াই। সেই লড়াইতে যে সারা দেশ সামিল তা রবিবার সকালে দেখিয়ে দিলেন সকলে। রাস্তাঘাট তো সুনসান বটেই, এমনকি অলিগলিতেও মানুষের দেখা নেই। চায়ের দোকানে ভিড় নেই। চায়ের দোকান খোলাও নেই। পাড়ার রকে আড্ডা নেই। ঠেকে বন্ধুদের ভিড় নেই। এমনকি ২ জন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন এমনও দেখা যায়নি।
রবিবার কিছু লোকাল ট্রেন চললেও সব দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়। কিন্তু যে দূরপাল্লার গাড়িগুলি গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য রাস্তায় ছিল সেগুলি সঠিক সময়েই নির্দিষ্ট স্টেশনে পৌঁছয়। যাত্রীরা নামেন। ফলে সকাল থেকে কলকাতার ২টি জায়গায় কিছু মানুষের দেখা মিলেছে। শিয়ালদহ স্টেশন ও হাওড়া স্টেশন। তবে রাস্তায় গাড়ি না থাকায় বাড়ি পৌঁছতে সমস্যা হয় অনেকের। এদিন রাস্তায় কিছু সরকারি বাস নেমেছিল বটে। কিন্তু তার অধিকাংশতেই দেখা যায় একজনও যাত্রী নেই। কেবল চালক ও কন্ডাক্টর বাসে রয়েছেন। এতটাই সর্বাত্মক ছিল জনতা কার্ফু।
গ্রামে গ্রামেও ছবিটা ছিল এক। গ্রামের মানুষও এদিন কাজে বার হননি। কোনও দোকানপাট, বাজার খোলা ছিলনা। মানুষ গ্রামের মধ্যেও বার হননি। খুব দরকার ছাড়া সকলেই বাড়িতে কাটিয়েছেন। রবিবারের ছুটির আমেজ এদিন হরতালের আমেজে পরিণত হয়। তবে হরতালে যে আড্ডার মেজাজ থাকে, সেটাও এদিন ছিল উধাও। কিছু লোকাল ট্রেন চললেও সবই ছিল ফাঁকা।
কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোটা দেশের ছবিটাও ছিল একই রকম। ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। কোথাও মানুষের দেখা মেলেনি। সকলেই স্বেচ্ছায় নিজেদের ঘরবন্দি রাখেন। করোনাকে রুখতে যে তাঁরা এককাট্টা তা প্রমাণ করে দিলেন ভারতবাসী। জনতা কার্ফুর সাফল্য করোনা রুখতে কার্যকরী হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা