করোনা রুখতে দেশের ৭৫টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কথা বলেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই জায়গাগুলিতে করোনাকে ছড়িয়ে পড়া আটকে দিতে পারলেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটা সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শর্ত হল এই পরিস্থিতিতে লকডাউন মানাটা জরুরি। এক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্র। রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্র তরফে জানানো হয়েছে যদি কেউ এই লকডাউনের নিয়মবিধি লঙ্ঘন করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
কলকাতা সহ রাজ্যে যে জেলাগুলিতে এই লকডাউন হচ্ছে সেখানে এই লকডাউন সারা দেশের মত ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকছে না। আপাতত রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বজায় রাখবে। যা সোমবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হবে। এই সময়ে বন্ধ থাকবে যাবতীয় গণপরিবহণ। দোকান, অফিস, কারখানা সবই বন্ধ থাকবে। কিন্তু ওষুধের দোকান, মুদির দোকান, আনাজ, মাছ, মাংস, ফল, দুধ, পাউরুটির দোকান খোলা থাকবে। খোলা থাকবে রেশন দোকানও।
এছাড়া রান্নার গ্যাস, পেট্রোল পাম্প, টেলিকম, বিদ্যুৎ, জল, জঞ্জাল সাফাই পরিষেবা মিলবে। সংবাদমাধ্যমেরও ছাড় রয়েছে। এর বাইরে কিন্তু ৭ জনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হতে পারবেননা। বাড়ি থেকে খুব প্রয়োজন ছাড়া বার হতে পারবেননা।
এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৪১৫-তে ঠেকেছে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলেছে এমনও কিছু করোনা সংক্রমিত যাঁদের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। ফলে স্থানীয়ভাবেও কিছু কিছু জায়গায় করোনা ছড়িয়েছে। বিদেশ থেকে এলে তাঁরা অনেকে করোনা নিয়েই ভারতে পা রেখেছেন। কিন্তু নিজের জায়গা ছেড়ে যাঁরা বাইরে যাননি তাঁদের মধ্যে কীভাবে ছড়াচ্ছে সেটা একটা অন্যতম চিন্তার কারণ হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা