বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাকে রুখতে কঠিন লড়াইয়ে নেমেছে ভারত। তারপরেও বাড়ছে করোনার শিকার। এদিক কোনও ওষুধ এখনও চিকিৎসকদের হাতে নেই যা দিয়ে করোনা সারিয়ে দেওয়া যায়। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মত একটাই। করোনাকে রুখতে হলে ভেঙে দিতে হবে এক চেনকে। তাহলেই করোনাকে রোখা সম্ভব হবে। আর চেন ভাঙতে হলে দরকার সামাজিক দূরত্ব নিয়ম মেনে বজায় রাখা। মানুষের স্বার্থে, মানুষকে বাঁচাতে তাই এবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একসঙ্গে লড়াইয়ে নেমেছে। এখনও পর্যন্ত দেশের ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬০টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা হয়েছে।
লকডাউন করে মানুষকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি পাড়ায় বার হওয়া, পাড়াতে বা বাড়িতে বাড়ির লোকজন ছাড়াও আত্মীয় প্রতিবেশি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা গল্প, চায়ের দোকানে বা রকে আড্ডা বা অন্যভাবে সামাজিকভাবে মানুষের একে অপরের কাছাকাছি আসা রুখতে সকলকে বাড়িতেই রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। সেই চেষ্টায় অনেক মানুষ স্বদিচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন। কিছু মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসন।
ভারতের মূল ভূখণ্ডের বাইরে লাক্ষাদ্বীপেও বাইরে থেকে আসা যাত্রীবাহী জাহাজ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। ১৪৪ ধারার রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। ভারতে করোনার শিকারের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এখনও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসের প্রকোপে। ভারত যে লড়াই লড়ছে করোনা রুখতে তা নিয়ে প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এদিকে পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যে লকডাউন করে মানুষের বাড়ি থেকে বার হওয়া পুরোপুরি বন্ধ করতে না পেরে অগত্যা ১৪৪ ধারা জারি করেছে সরকার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা