মহারাষ্ট্রেই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ করোনার শিকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তারমধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী যিনি মারা গেলেন তিনি একজন মহিলা। বয়স ৪০ বছর। প্রবল শ্বাসকষ্ট ও বুকে যন্ত্রণা নিয়ে তিনি মুম্বইয়ের একটি পুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর নমুনাও পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট যখন পজিটিভ হিসাবে রবিবার হাতে আসে ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গভীর রাতেই তাঁর হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
এই মহিলার মৃত্যু নিয়ে মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭-এ ঠেকল। আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৩ জন। রবিবার সকালেই ১২ জনের দেহে নতুন করে করোনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যেভাবে মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে প্রবল চিন্তায় মহারাষ্ট্র সরকার। তারা ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকতে অনুরোধ করেছে। যাতে কোনও চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা তৈরি হলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যবাসীকে ঘরেই থাকতে অনুরোধ করেছে। বাড়িতে থাকার সময় এয়ারকন্ডিশন বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছে। রাস্তায় ভিড় করতে মানা করেছে। দোকানে ভিড় জমাতে নিষেধ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে লকডাউন সত্ত্বেও কিছু মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েই পড়ছেন। ফলে প্রয়োজন পড়লে সেনা নামিয়ে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা