লকডাউন চলছে। ফলে গাড়ি নেই। ভিনরাজ্যে রুজির টানে যাওয়া মানুষের বাড়িতে ফেরার কোনও রাস্তা খোলা নেই। গত শনিবার দিল্লির আনন্দ বিহারে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা ঘিরে যে প্রবল ভিড় ও হুলস্থূল শুরু হয় তা গোটা দেশ দেখেছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে চলেছেন বাড়ির টানে। এমনই এক অবস্থায় হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির একটি রেস্তোরাঁয় ডেলিভারি বয় হিসাবে কর্মরত রণবীর সিং।
রণবীর সিংয়ের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের মোরানায়। তিনি ঠিক করেন হেঁটেই বাড়ি পৌঁছবেন। ৩৯ বছর বয়সী রণবীর সেইমত হাঁটতে শুরু করেন গত শুক্রবার ভোরে উঠে। হাঁটতে হাঁটতে ২০০ কিলোমিটার পার করে তিনি আগ্রা পৌঁছন। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর কৈলাস মোড়ের কাছে একসময় তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। এটা নজরে পড়ে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর। তিনি ছুটে এসে রণবীরকে তুলে একটি জায়গায় বসান। তারপর তাঁকে জল দেন। চা, বিস্কুট খেতে বলেন।
বসতে পারলেও রণবীরের শারীরিক অবস্থা ভাল ছিলনা। তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছিল। তিনি কোনওক্রমে ফোনে তাঁর ভাইকে পুরো বিষয়টি জানান। তারপরই মোটামুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। স্থানীয় লোকজনই দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রণবীরের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ২০০ কিলোমিটার হাঁটা রণবীরের সহ্য হয়নি। এই প্রচুর হাঁটার ফলেই তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। মৃত্যু হয় তাঁর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা