
দেশজুড়ে করোনা ঠেকাতে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি রাজ্যেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে মানুষকে সাহায্য করতে। উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার কন্ট্রোল রুমেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। তারমধ্যেই এল এক যুবকের ফোন। তাঁর আবদার সামোসা চাই। তাঁকে যেন সামোসার বন্দোবস্ত করে দেয় প্রশাসন। সেখানেই শেষ নয়। তারপর বারবার তাগাদা ফোন করতে থাকেন ওই যুবক। একবার ফোনে তিনি জানান তাঁর ৪টি সামোসা লাগবে। সঙ্গে যেন অবশ্যই চাটনি থাকে।
প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলেও বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি চরমে ওঠে কন্ট্রোল রুমে। এই ব্যস্ততার মধ্যে এভাবে বিরক্ত করা তাঁরা ভাল চোখে নেননি। বিষয়টি জেলাশাসকও জানতে পারেন। তিনি এরপর তাঁর আধিকারিকদের জানান ওই যুবককে যেন সামোসা পৌঁছে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি মেনেই সামোসা পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়। সামোসাও হাতে পান ওই যুবক।
এতো গেল তাঁর চাহিদা পূরণের দিক। কিন্তু ওই যুবক যে এই জটিল সমস্যার সময়ে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিরক্ত করলেন তার কী হবে? তারও বিধান দেন জেলাশাসক। তিনি জানান সামোসা চাহিদা মত যুবককে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বিরক্ত করেছেন। তাই শাস্তি তাঁকে পেতে হবে। জেলাশাসক জানান, এভাবে বিরক্ত করার জন্য ওই যুবককে নর্দমা সাফ করতে হবে। সেই নর্দমা সাফের ভিডিও জেলাশাসক তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলেও দেন। তবে ওই যুবকের নাম প্রকাশ করেননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা