দেশ জুড়ে লকডাউন। পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে করোনায় ভয়। এই অবস্থায় সকলেই চাইছেন ঘরে ফিরতে। আপনজনের কাছে ফিরতে। অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা পড়েছেন চরম সমস্যায়। কাজ নেই। অনেকের কাছে পর্যাপ্ত খাবার নেই। ফলে ঘরে ফিরতে চাইছেন সকলে।
যেখানে সামাজিক দূরত্বের কথা বারবার করে প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে সেখানে দিল্লির আনন্দ বিহারের কদিন আগের থিকথিকে ভিড়ের ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ভিন রাজ্য থেকে হয় হেঁটে, নয়তো কোনও কিছু একটা চেপে, নয়তো প্রশাসনের বন্দোবস্ত করা বাসে চেপে শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে চাইছেন।
এমনই একদল শ্রমিক গত রবিবার হাজির হন উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। বরেলি বাসস্ট্যান্ডে নামতেই তাঁদের সকলকে রাস্তার ওপর বসিয়ে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় তাঁদের ওপর রাসায়নিক স্প্রে করা।
এতগুলো মানুষের ওপর জীবাণুনাশক স্প্রে! সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে হতবাক হয়ে যায় গোটা দেশ। কড়া সমালোচনা শুরু হয় যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ট্যুইট করে শ্রমিকদের সঙ্গে এমন ব্যবহারের সমালোচনা করেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর অবশ্য এর সাফাই দেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানান, যাঁরা একাজ করেছেন তাঁরা অত্যুৎসাহী হয়ে একাজ করে থাকতে পারেন। এটা যে ঠিক হয়নি তাও প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দেন তিনি।
ওখানে থাকা শ্রমিকরা জানিয়েছেন তাঁরা সংখ্যায় জনা ৫০ ছিলেন। ছিলেন মহিলা ও শিশুরাও। তাঁদের ওপর আচমকাই জলের মত ছেটানো শুরু হয়। যাঁরা ছেটাচ্ছিলেন তাঁরা বিশেষ পোশাকে ছিলেন। তাঁরা জানান জীবাণুনাশক ছেটানো হচ্ছে শ্রমিকদের ওপর।
এই পরিস্থিতিতে মহিলারা ভয় পেয়ে যান। শিশুরা কাঁদতে থাকে। জানা গেছে, শ্রমিকদের ওপর সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ছেটানো হয়েছিল। ফলে মহিলাদের কয়েকজনের গায়ে ব়্যাশ বার হয়। শিশুদের চোখ চুলকোতে থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা